আদালতে নাসা গ্রুপের নজরুল

আগেই দুই দফা রিমান্ড শেষ, ফের রিমান্ডে নিলে হার্ট অ্যাটাক করবো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৪ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার আদালতে আনা হয় নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারকে/ ফাইল ছবি

জুলাই আন্দোলন চলাকালে হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে রিমান্ডে না পাঠানোর আবেদন করেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার। বিচারককে তিনি বলেন, ‘এর আগেই আমাকে দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আবার রিমান্ডে নিলে হার্ট অ্যাটাক হবে- আমি হার্ট অ্যাটাক করবো।’

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় এ কথা বলেন তিনি। পরে আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।

দীর্ঘদিন ধরেই কারাবন্দি নজরুল ইসলামকে আজ সকালে আদালতে আনা হয়। দুপুরে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাকে কোর্ট-৩–এ তোলা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গুরুতর অসুস্থ। ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। জেলে থাকতেই বহুবার হার্টে ব্যথা উঠেছে। আমার বুকের ডান পাশে নিয়মিত ব্যথা হয়। আবার রিমান্ডে নিলে কিছুই করার নেই- হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।’

নজরুল ইসলাম মজুমদার আরও বলেন, ‘মামলা হয়েছে- কিছু করার নেই। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।’

আরও পড়ুন
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত আব্দুল্লাহ 
ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহ তিন দিনের রিমান্ডে 

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও নজরুল ইসলামের অসুস্থতা তুলে ধরে জানান, তিনি দেশে ছিলেন না- এ মামলায় তিনি সন্দিগ্ধ আসামি মাত্র, সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ নেই। তাই রিমান্ড নয়, মানবিক কারণে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ যথেষ্ট।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে নজরুল ইসলাম সহযোগী আসামিদের কাছে অর্থ সরবরাহ ও উসকানির ভূমিকা রেখেছেন-এমন তথ্য তাদের গোপন তদন্তে মিলেছে। সেজন্য তিনি ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ১৯ জুলাই শাহজাদপুর বাটার গলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কামাল হোসেন। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৭ জুলাই গুলশান থানায় মামলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১ অক্টোবর গুলশান থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

এমডিএএ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।