সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন না দিলে কঠোর আন্দোলন


প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ২১ মার্চের মধ্যে জমা না দিলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। আশুলিয়ার বেড়িবাঁধে অবস্থিত প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটে বনভোজনের আয়োজন করা হয়।

ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, আগামী ২১ মার্চ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই দিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আগেরবার যখন আমরা এই স্পটটিতে পিকনিকে এসেছিলাম, সেই সময় আমাদের সঙ্গে সাগর-রুনিও ছিল। কিন্তু আজ তারা আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা চাই না কোন সাংবাদিক খুন হোক। সাগর-রুনির হত্যাকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, সহ-সভাপতি আবু দারদা জোবায়ের, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হেসেন, অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিল্টন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল, আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, নারী বিষয়ক সম্পাদক দিনার সুলতানা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদ রিয়াত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরীসহ ডিআরইউ এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিভিন্ন মিডিয়াতে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা।

ডিআরইউ’র বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থকে আশুলিয়ার বেড়িবাঁধে অবস্থিত প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটটি সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে প্রায় ২ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে স্পটটিতে।

রাজধানীর মৎস্যভবন থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় পিকনিক স্পটের উদ্দেশে ডিআরইউর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রথম গাড়িটি ছেড়ে আসে। একে একে একই স্থান থেকে পিকনিক স্পটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ৩৫টি পরিবহন। বেলা ১১টার মধ্যেই পিকনিক স্পটে পৌঁছে যায় পরিবহনগুলো। সবার উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় শুটিং স্পটটি।

স্পটে পৌঁছে সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরা মেতে ওঠে বিভিন্ন খেলায়। কেউ মত্ত হয় ক্রিকেট, কেউ দোলনা আবার কেউ স্লিপারে স্লিপ খেলায় মেতে ওঠে। সেই সঙ্গে চলে হাওয়ায় মিঠাই, আইসক্রিম, বাদাম খাওয়া। ডিআরইউ এর পক্ষ থেকে সদস্য সন্তানদের জন্য আয়োজন করা হয় দৌড় প্রতিযোগিতা। আর সদস্যদের স্ত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় পিলো পাসিং।

বনভোজনে অংশ নেয়া সদস্যদের মধ্যে যারা পরিবার ছাড়া আসেন তারা ঘুরে ঘুরে ব্যস্ত সময় পার করেন। কেউ কেউ দলবেঁধে পিকনিক স্পটের সীমানা পেরিয়ে চলে যান খাল পাড়ে। ঘোরাঘুরির সঙ্গে চলতে থাকে সেলফি। সেইসঙ্গে নানা হাস্যকর গল্প।
অপেক্ষাকৃত বয়সীরা জড়ো হয়ে মেতে উঠেন খোশগল্পে। তাদের আড্ডায় পরিবারিক বিষয়ের সঙ্গে পেশাজীবনের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা উঠে আসছে। কোন কোন সিনিয়র সাংবাদিক আড্ডায় বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগাতে উচ্চ সরে বলে উঠেন ‘আমি আমার বৌকে ভয় পাই না’।

কেউ কেউ বয়সকে দূরে ঠেলে মেতে ওঠেন কৈশোরের দুরন্তপনায়। এদের মধ্যে ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল অন্যতম। তিনি হাতে একতারা তুলে নিয়ে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। সেই সঙ্গে ক্যামেরা হাতে তুলতে থাকেন বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি।
 
পিকনিক স্পটের মূলমঞ্চে সকাল থেকে র‌্যাফেল ড্র’র আগ পর্যন্ত চলতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তরুণ শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় একের পর এক জনপ্রিয় গান। তরুণ সাংবাদকিরা অনুষ্ঠানে বাড়তি আনন্দের যোগান দিতে মঞ্চে উঠে শিল্পীর গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাত-পা দোলাতে থাকেন।

বনভোজনের সব থেকে আকর্ষণীয় ইভেট র‌্যাফেল ড্র’র মধ্য দিয়ে ভাঙে সেই মিলনমেলা। ডিআরইউ’র ১৩১ জন ভাগ্যবান সদস্য জিতে নেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

এমএএস/এসআই/এআরএস

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।