গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী মারা গেছেন

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৫
সংঘর্ষ ও পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ/ছবি সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় রমজান মুন্সী (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত দুইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে আরও দুজন বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত বুধবার ঘটনার দিনই চারজন নিহত হন। তারা হলেন- মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের দোকানি সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), সিরামিক পণ্যের দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭) ও রাজমিস্ত্রির সহযোগী রমজান কাজী (১৮)।

আরও পড়ুন

গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী গোপালগঞ্জ সদর থানাপাড়া এলাকার মৃত আকবর মুন্সীর ছেলে।

রমজান মুন্সীকে ঢামেকে নিয়ে আসা তার ভাই হীরা মুন্সী জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভাই রিকশাচালক। ঘটনার দিন (বুধবার) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় সিনেমা হলের পাশেই রিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে ফেরার পথে সহিংসতার মধ্যে পড়ে এবং গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই রাত দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই মারা যায়।

শুক্রবার সকালে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ সদর এলাকা থেকে নিয়ে আসা রমজান মুন্সী নামের এক যুবক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও দুজন হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন, সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০)।

আরও পড়ুন

গত বুধবার দিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে খুলনায় নেওয়া হয়।

এদিকে, সংঘাতের সময় গুলিতে নিহত চারজনের দাফন ও শেষকৃত্য গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

কাজী আল-আমিন/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।