উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের বিকল্প নেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরায় দুটি খাল পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এজন্য খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে। শহরের জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখতে খালগুলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।

বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের বাউনিয়া ও উত্তরার খিদির খাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থপতি ফজলে রেজা সুমন এবং খালের খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

jagonews24

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ছয়টি খাল খননের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এবং আরও ১৩টিসহ মোট ১৯ খাল খননের কার্যক্রম এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার খালগুলো খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে। ঢাকার খালগুলো খননের পর খালের পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা এবং ফল ও পাখিদের খাওয়ার উপযোগী বৃক্ষরোপণ করা হবে।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান খাল খনন পরিদর্শনকালে বাউনিয়া খালের সাগুফতা ব্রিজের পাশে এবং উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন খিদির খালের পাড়ে দুটি গাছের চারা রোপণ করেন।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধার ও খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খালের খনন ও পরিষ্কার এবং অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা একসঙ্গে চলমান। খালের উন্নয়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। পানিদূষণ রোধ করতে ভবনের পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুলশান, বনানী, বারিধারা সোসাইটির নেতাদের সাথে সভা করেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে পয়োঃবর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ইটিপি স্থাপন করতে বলেছি।

পরিদর্শনকালে অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কতোডর এ বি এম সামসুল আলম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি এলাকার মোট ১৯টি খাল সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ছয়টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হবে। ছয়টি খালের মধ্যে রয়েছে ডিএনসিসি এলাকার চারটি খাল: বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর ও বেগুনবাড়ি এবং ডিএসসিসি এলাকার দুটি খাল: মান্ডা ও কালুনগর। খাল সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ, খাল পরিষ্কার, পাড় সংরক্ষণসহ ব্লু নেটওয়ার্ক নির্মাণ করা হবে।

এমএমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।