দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু লোক নৈতিক খবরদারির দায়িত্ব নিয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু লোক নৈতিক খবরদারির দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের সংখ্যা বড় না। কিন্তু কণ্ঠস্বরটা উচ্চ।’

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম আয়োজিত ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশার অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৈতিক খবরদারি করতে চাওয়া এসব মানুষের সংখ্যা বেশি নয় জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, তারা সংখ্যায় বড় না। কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ। এ কণ্ঠস্বর মোকাবিলা করতে হলে সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে যে উদারনৈতিক বহুত্ববাদী সমাজের কথা আমরা বলি, তার পক্ষের মানুষকে সোচ্চার হয়ে দাঁড়াতে হবে।

আগামী নির্বাচনের আগে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং তাদের ভোটের নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না বলেও জানান ড. দেবপ্রিয়। সংস্কার হবে আর পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নতি হবে না। তাহলে ওই সংস্কার দিয়ে জনগণ কী করবে?’

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের দপ্তর এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দেনপ্রিয় বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতিহার তৈরি শুরু হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ সবক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য প্রতিশ্রুতি আলাদাভাবে না থাকলে তারা ইশতেহার গ্রহণ করবেন না।

জনগণ এতদিন বিভ্রান্তিকর উন্নয়নের বয়ানে ছিল উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এখন প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার সময় এসেছে। বাংলাদেশের গড়ে উন্নতি হলেও পার্থক্য রয়ে গেছে। উন্নয়নে সবাই সমানভাবে অংশ নিতে পারেনি। সমাজের কোন অবস্থান থেকে, কোন গোত্র থেকে এসেছে তার ওপর নির্ভর করেছে কে উন্নয়নের সুবিধা পাবে, আর কে পাবে না।

তিনি বলেন, গড় আয়ু বেড়েছে কিন্তু গরিবদের গড় আয়ু বাড়েনি। স্কুলের অন্তর্ভুক্তি শতভাগ হয়েছে কিন্তু গরিবদের সবাই স্কুলে যায় না। এজন্য সঠিক পরিসংখ্যান দরকার সঠিক পরিসংখ্যান না হলে সবাইকে নীতির মধ্যে আনা যাবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। তিনি বলেন, এতদিন উন্নয়ন ঢাকা শহরের বাইরে যায়নি। প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত, নারীসহ বিভিন্ন পর্যায়েই সমস্যা রয়েছে। এগুলো থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জও অনেক।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংলি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় ঢাকার জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

এসএম/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।