বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতে অংশ নিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা ২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দুটি ঈদ জামাতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মসজিদ। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ সারাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ফজর নামাজের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররমে আসতে থাকেন। সকাল ৭টার আগেই মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। সাতটায় শুরু হয় প্রথম জামাত। প্রতিটি জামাতে দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত।

প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল

মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম জামাত শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মোনাজাতের দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে মোনাজাতে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা।

বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান এ জামাতে ইমামতি করেন। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ। দ্বিতীয় জামাত শেষ হয় ৮টা ২৫ মিনিটে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে জামাতে অংশ নিতে এসেছেন শাহরিয়ার হোসাইন। তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকায় থাকলে সাধারণত বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে আসি। একসঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে নামাজ পড়ার আলাদা একটা শান্তি আছে।

বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল

জামাতগুলো শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা গেছে। নারী এবং শিশুদেরও বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতের ছবি তুলতে অনেক বিদেশি আলোকচিত্রীকে দেখা গেছে।জামাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের প্রবেশ এবং বের হওয়ার গেট গুলোতে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক অবস্থান নিয়েছেন।

ঈদ জামাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশ গেটগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। দক্ষিণ গেটে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে। এ গেটে দুটি আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তৃতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। সকাল ৯টায় এ জামাত হচ্ছে। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে রয়েছেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন।

এ পাঁচটি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আগেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরএমএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।