বকশীবাজারে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের ঈদের নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ০৭ জুন ২০২৫
ঈদুল আজহার নামাজের ইমামতি করেন আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমির আলহাজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী

ঢাকার বকশীবাজারে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ইমামতি করেন আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমির আলহাজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।

নামাজ শেষে খুতবা পেশ করা হয়। খুতবায় হজরত ইব্রাহিম (আ.), হজরত ইসমাইল (আ.) এবং হজরত হাজেরা (আ.)- এর অসাধারণ আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেবল লোক দেখানো আর আনন্দ উদযাপনের জন্য একজন মুমিন পশু কোরবানি করে থাকে না। বরং এক অসাধারণ ত্যাগকে স্মরণ রেখে ঈদ উদযাপন করে। মুমিন কোরবানির যে প্রকৃত গুরুত্ব সেভাবেই স্মরণ রাখে যেভাবে স্মরণ রাখা উচিত।

বিজ্ঞাপন

মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী আরও বলেন, হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) হাজার হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোরবানি করেছিলেন তাকে স্মরণ করেই মুমিন কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকে। আর তাদের দোয়ার বরকতে তাদের মাধ্যমে এমন এক সুমহান জাতি গঠন করেন যে জাতিসত্তায় বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মতো সর্বমহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীকে আল্লাহ পাঠান। যাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন। তার মাধ্যমেই কেবল আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, হজরত হজেরা (আ.) এবং হজরত ইসমাইল (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই বস্তু জগৎ পরিত্যাগ করেছিলেন। এরপর আল্লাহ সারা পৃথিবীকে হজরত ইসমাইল (আ.) এর সন্তানদের চরণে এনে উপস্থিত করেছেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং তার পরিবারের মহান আদর্শ নিজেদের মধ্যে ধারণ করার প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

jagonews24

মানব সেবার বিষয়ে উল্লেখ করে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমির বলেন, আমরা তখনই প্রকৃত ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারবো যখন আমরা আমাদের প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং অসহায়দের খোঁজ-খবর নেবো। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াবো।

খুতবা শেষে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এরপর তিনি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার রাস্তায় পশু কোরবানি করা হয়। একইভাবে সারাদেশে আহমদিয়া মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি করা হয়। এছাড়া যারা পশু কোরবানি করতে পারেননি তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।