ফাঁকা সড়কে স্বস্তির যাত্রা নগরবাসীর

রাজধানীর আমিনবাজার থেকে শ্যামলী মাত্র ১৫ মিনিটে পৌঁছে গেছেন মিজানুর। সকাল ১০টার দিকে তিনি অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। বাস থেকে নেমে অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করে বলছিলেন, এই ১৫ মিনিটের রাস্তা যানজটের কারণে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতো পৌঁছতে।
মিজানুরের মতো ঈদের ছুটিতে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন ফাঁকা রাস্তা পেয়ে খুশি তারা। অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, ঈদের ছুটিতে এরকম ফাঁকা শহরে ঘুরতে ভালোই লাগে। যানজটের কোনো ঝামেলা নেই।
ঈদের চতুর্থ দিন আজ। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর কল্যাণপুর ও শ্যামলী ঘুরে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে সন্তুষ্টির কথা জানান তারা।
দীপঙ্কর নামের একজন বলেন, ঢাকা শহরের যে পরিমাণ মানুষ আর যে পরিমাণ গাড়ি থাকার কথা তার থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। যার কারণে অফিস সময়ে সবাই একবারে রাস্তায় নামে আর যানজট সৃষ্টি হয়। ঈদের এই ছুটির সময় মানুষ যেভাবে স্বাচ্ছন্দে ঢাকা শহরের সড়কে চলাচল করতে পারে সেটা যদি সব সময় হতো তাহলে আমাদের ঢাকাবাসীর অনেক উন্নতি হতো।
কাজল নামে আরেকজন বলেন, ছুটির দিনগুলোতে ঢাকা শহরের রাস্তায় চলাচল করতে ভালো লাগে। কিন্তু যে সময় ছুটি শেষ হবে সবাই ঢাকা আসবে সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের সমস্যার শুরু হবে। রাস্তায় যানজট, গাড়ির গেটে ঝুলে চলাচল। আবার সেই ভোগান্তি বাড়বে।
এদিকে, ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল বুধবার (৪ জুন)। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয় টানা ছুটি। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয় এবার।
কেআর/এসএনআর/জিকেএস