সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হলেও সরকারের প্রকৃত কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
টিআইবি গবেষণা প্রতিবেদনে বলছে, সরকারে তথ্য প্রকাশে সমন্বয়হীনতা ও গোপনীয়তার প্রবণতা রয়েছে। ভারতের অবন্ধুসুলভ আচরণের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সংকট ও তার ফলে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত।
রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পর্যবেক্ষণে অগ্রগতি সম্পর্কে টিআইবি বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান ও সহায়তার অঙ্গীকার রয়েছে। দুর্নীতি দমনে সহায়তার ঘোষণা, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার, দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন ও তদন্ত চলমান। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে মানবাধিকারের সুরক্ষা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা, সহিংসতার ঘটনার পূর্ণ এবং স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় প্রতিবেদনে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনায় অগ্রগতি কথাও বলা হয় এতে।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে সরকারের ঘাটতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের অস্পষ্ট অবস্থান ও তথ্য প্রকাশে ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অবন্ধুসুলভ আচরণ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ; সীমান্তে হত্যা ও ‘পুশ ইন’ অব্যাহত; বাণিজ্যে বাধা আরোপ; কূটনৈতিক টানাপোড়েন; শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোও সরকারের ঘাটতি বলে মনে করে টিআইবি।
এনএস/এসএনআর/জিকেএস