‘মাদক ব্যবসার সঙ্গে পুলিশও জড়িত, অস্বীকার করছি না’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মাদকের ব্যবসার সঙ্গে কিছু পুলিশ ও বিজিবি সদস্য যে জড়িত নেই তা অস্বীকার করব না। তবে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলবে তাদের বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানাধীন ধুপখোলা মাঠে আয়োজিত ‘মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ-২০১৭’তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মাদক পাচার বন্ধে ভারতের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশে ফেনসিডিল প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু ঠিকই সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। এক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতাই করছে না মিয়ানমার। তবে আমাদের বাহিনী মাদকের বিস্তার বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের পুলিশ ভালো কাজ করছে। জনগণের শক্তিতে আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। জনগণকে সঙ্গে না নিয়ে চললে আমরা সফল হতে পারব না। মাদকের ডিমান্ড (চাহিদা) হ্রাস করার জন্য আমরা সামাজিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করছি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ১৫৭টি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা দিয়ে মাদকসেবীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
জেইউ/জেডএ/এমএআর/এমএস