মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

আহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের ফ্রি বাইক সার্ভিস দিচ্ছেন মাহমুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: জাগো নিউজ

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখনো চিকিৎসাধীন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এমন সংকটময় সময়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন নানা রকম সেবা কার্যক্রমে। তাদের মধ্যে একজন ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবক হচ্ছেন কাজী মাহমুদ হাসান।

কেরানীগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহমুদ হাসান। পেশাদার বাইক রাইডার না হয়েও তিনি তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ফ্রি সার্ভিসে দিয়েছেন আহত শিক্ষার্থীদের স্বজনদের যাতায়াতের জন্য।

আহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের ফ্রি বাইক সার্ভিস দিচ্ছেন মাহমুদ

বুধবার (২৩ জুলাই) বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি পেশাদার বাইক রাইডার না। সম্প্রতি একটি সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক কিনেছি। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম কেউ কেউ ৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা নিচ্ছে, ২ লিটার পানির দাম নিচ্ছে ৬০০ টাকা। এটা আমাকে ব্যথিত করেছে। মাইলস্টোন কলেজের অভিভাবকদের টাকার অভাব না থাকলেও তারা সাময়িক সংকটে পড়েছেন। তাই আমি বিবেকের তাড়নায় আজ ফ্রি বাইক সার্ভিস দিচ্ছি।

তিনি জানান, আজ সকাল ৭টা থেকে আমি এখানে এসেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটের আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকবো, যেন কেউ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যদি কোথাও যেতে চায়, আমি তাকে পৌঁছে দিতে পারি। ইনশাআল্লাহ, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকবো।

এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করা মাহমুদ হাসান জানান, মঙ্গলবার সেবা দিতে পারেননি বাবার অসুস্থতার কারণে। তবে আজ আবারও এসেছেন বাইক নিয়ে, দাঁড়িয়ে আছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশায়।

আহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের ফ্রি বাইক সার্ভিস দিচ্ছেন মাহমুদ

তিনি আরও বলেন, এই সংকটকালে রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, সবাই যে যার মতো সেবা করছে। আমিও চাই তাদের মতো একজন হতে। তাই এ উদ্যোগ।

মাহমুদ হাসানের এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে হাসপাতাল এলাকায়। এমন দৃষ্টান্ত সংকটের মধ্যেও স্পষ্ট হয় মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের মতো বিষয়গুলো।

ইএআর/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।