‘সন্ত্রাসী’ কোটা সংস্কার আন্দোলন মন্তব্যে সুজনের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসী’ উপাধি দেয়ায় দুই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্যের বক্তব্যের সমালোচনা করে মঙ্গলবার সুজনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, চলমান সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার আন্দোলনকারীদের সব কাজই জঙ্গিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিওসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সব পদক্ষেপের সঙ্গে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মিল আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একইভাবে গত ৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন যারা করছেন তাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘আমি বলব একদল সন্ত্রাসী কোটা আন্দোলনের নামে যা করছে তা কোটা আন্দোলন নয়। যারা কোটা আন্দোলন করছে সরকার তাদের লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেবে না। সরকার ও প্রশাসনের একটা সহ্যের সীমা আছে।’

সুজনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ড. মো. আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, তিনি ফেসবুক ব্যবহার করেন না, কিন্তু তার একজন সহকর্মী তাকে এমন কোনো ভিডিও দেখিয়েছেন যা থেকে তার এ উপসংহার। কিন্তু কোনো ভিডিও দেখার মাধ্যমে তিনি নিজ ছাত্রদের সম্পর্কে এত বড় মন্তব্য করলেন তা আমরা জানতে চাই।’

দুই ভিসির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আরও বলা হয়, “আমরা ‘সুজনের পক্ষ থেকে উপাচার্যদের বক্তব্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রক্রিয়া জানাচ্ছি এবং নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পন্থায় আন্দোলন পরিচালনা করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্রস্থল। এখানে যুক্তি দিয়ে যুক্তি খণ্ডন করা হবে- এটাই কাম্য। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে কিংবা ছাত্রদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেয়ার অবকাশ নেই। বরং নিজ নিজ ক্যাম্পাসে সব ছাত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সুজন’ মনে করে, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। আমরা আশা করি, ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং সংসদে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবে রূপ দিয়ে কোটা প্রথায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে।

এমএইচএম/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।