ওয়ারীতে শিশু সায়মার ধর্ষণ-হত্যাকারী শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামে ধর্ষণের পর শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) হত্যার ঘটনায় জড়িত একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই যুবক নবনির্মিত ওই ভবনেই অপর একটি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তবে ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে শিশুর বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। ভবনের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সন্দেহে কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই যুবক ওই ভবনেই একটি ফ্লোরে ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।

এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত ভবনটির নয়তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মার মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনের ছয়তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত সে।

আব্দুস সালাম বলেন, সন্ধ্যার পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মাকে বলে ‘আমি উপরে পাশের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি, একটু খেলাধুলা করতে।’ এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ৯তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পাই।

জেইউ/বিএ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।