ভবিষ্যতে কাতারের বড় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

ভবিষ্যতে কাতারের বড় বিনিয়োগ দেখতে চায় বাংলাদেশ। বুধবার সচিবালয়ে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ সারিদা আল কাবিরের সঙ্গে বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রত্যাশার কথা জানান।

বৈঠক শেষে নসরুল হামিদ বলেন, ‘কাতারের প্রতিমন্ত্রী প্রথম বাংলাদেশে আসলেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে কাতারের বিশেষ করে এনার্জি সেক্টরের কোনো মন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশে আগমন। ভবিষ্যতে এনার্জি সেক্টরে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাইয়ের ব্যাপারে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, আমাদের সঙ্গে কাতারের যে সমঝোতা স্মারক আছে, সেটাকে এক্সটেন্ডেড করার আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কাতার সরকার বিশেষ করে এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগ করতে চায়। পায়রাতে কাতার বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। সেখানে তারা ল্যান্ডবেইজ এলএনজি টার্মিনাল করতে চায়। ইতোমধ্যে মাতারবাড়িতে যে এলএনজি টার্মিনাল হতে যাচ্ছে। যেটার জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। সেখানেও কাতার অংশ নিয়েছে। সেই বিষয়েও তারা আলোচনা করেছে।’

‘আমাদের সঙ্গে লং টাইম এগ্রিমেন্ট কাতারের আছে। সেই এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছি। তাদের কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছি। আমরা এও বলেছি ভবিষ্যতে কাতারের যে বিনিয়োগ সেটা বাংলাদেশে বড় আকারে দেখতে চাই।’

কাতার কী পরিমাণে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিমাণের কথা এখনও আসেনি। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কোন কোন সেক্টরে বিশেষ করে এনার্জি সেক্টরে তারা ইনভেস্টমেন্ট করতে চায়। এলএনজি বেইজ পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং এলএনজি সাপ্লাইসহ তারা পুরো প্যাকেজে বিনিযোগ করতে চায়।’

Nasrul-Hamid

নসরুল হামিদ বলেন, ‘তারা খুবই সিরিয়াস এজন্য মন্ত্রী নিজে বাংলাদেশে এসেছেন তাদের অফারটা নিয়ে। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাতারসহ মোট ১২টি পার্টি মাতারবাড়ি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে দরপত্রে অংশ নিয়েছে। মূল্যায়ন চলছে। সেখান থেকে সিলেক্টেড হবে।’

কাতার ইমিডিয়েট কোন সেক্টরে বিনিয়োগে আসতে পারে বলে মনে হয়- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমওইউটা এক্সটেশনের পরে তারা এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টে ইনভেস্টমেন্ট আসছেন। কেবল তাই নয়। এর সঙ্গে গ্যাসও নিতে চায় এবং তারা টার্মিনাল তৈরি করতে চায়। একটা বড় ইনভেস্টমেন্ট ফর এ লং টাইম। সেখানেও তারা ইনভেস্টমেন্ট করতে চায়। মূলত এনার্জি মিনিস্টারের ফোকাসটা এ জায়গাতে।’

‘আমি তাদেরকে বিনিয়োগের সুযোগগুলো বলেছি। তাদেরকে বলেছি যে ইকোনোমিক জোন থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কাতারের প্রতিমন্ত্রী কথা দিয়েছেন উনি দেশে ফিরে সবার সঙ্গে বিষয়গুলো আলোচনা করবেন।’

বিদ্যুতের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে শিল্প খাতের চাহিদা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো অফ সিজন বলা যায়, আমি মনে করি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমার্শিয়াল গ্রোথটা আরেকটু দ্রুত ও বড় হওয়া উচিত। আমাদের যে মাস্টার প্ল্যান আছে সেই বিবেচনায়।’

শিল্প-কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভায় বসেছেন জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘তারাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাচ্ছেন। তারা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেলে ইন্ডাস্ট্রি গ্রোথ হবে। সেদিকেও চেষ্টা করছি, আমরা নতুন কমিটি বানিয়েছি। দেখা যাক আগামী বছর হয়তো আরও ভালো হবে।’

আরএমএম/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।