নদীতে কোনোভাবেই ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীতে কোনোভাবেই ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। নদীর তীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নদীতে যেন পানির প্রবাহ থাকে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকৃত জায়গা বিআইডব্লিউটিএর দখলে আছে। এখন নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ময়লা-আবর্জনার কারণে নদীগুলোর প্রবাহ বন্ধ বা ভাগাড় হলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টঙ্গী এলাকায় তুরাগ নদীর রেলওয়ে ও সড়ক সেতুর নিচে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ, নদীর পানি দূষণরোধ ও পানিপ্রবাহে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করা-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছিল; সেটি অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নদীতীরের সীমানা পিলার এখন দৃশ্যমান। নদীতীর রক্ষা, দখল ও দূষণরোধে প্রকল্পের কাজ চলছে। নদীর পানি দূষণরোধে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ময়লা পানি পরিষ্কারের জন্য (দূষিত পানি ফিল্টারিং করা) পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এর কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। নদীর পানি দূষণরোধে ও দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একসঙ্গে এবং একছাতার নিচে কাজ করব।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী টঙ্গী এলাকায় তুরাগ নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ড্রেনের মুখে (নদীর তীর অংশে) নির্মিত নেটের ভেতরের পলিথিন বর্জ্য পরিষ্কার এবং ড্রেনগুলো কাভার্ডের (ঢেকে রাখা) ব্যবস্থা করতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি সরকার তথা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে নদীতে ময়লা ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতা করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে টঙ্গী এলাকায় নতুন রেলওয়ে সেতু এবং সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে মাটি উত্তোলনপূর্বক মাটির স্তূপ দ্রুত সরানোর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বাজারে পলিথিনের ব্যবহার ও বাজারজাতরোধ এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি পরিষ্কারের জন্য যন্ত্রপাতি চালু রাখার বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, পরিবেশ অধিদফতরের ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।