‘ছুটি চাইছি, স্যার কয় দরজা-জানালা বন্ধ কইরা বইসা থাক’
মহামারি নভেল করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের ছুটি দিচ্ছে না মালিকপক্ষ।
এমনকি নিরাপদে থাকার জন্যও তাদের দেয়া হচ্ছে না সাবান, ডিটারজেন্ট, হেক্সিসল কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এমন একজন ভুক্তভোগী রাজধানীর ফার্মগেটের একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত মো. লিটন। ছুটি চেয়েও তিনি পাননি। আক্ষেপ করে লিটন বলেন, ‘কাজ না করলে তো গরিবের পেটে ভাত আসব না।’
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাবান ও ডিটারজেন্ট কিনতে বেরিয়েছিলেন লিটন। এ সময় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের ছুটি নেই। আমরা অফিসে প্রশ্ন করছি যে স্যার, সবাই তো বাড়িতে যাইতেছে, আমরা কী করমু? কয়, তোমরা দরজা-জানালা বন্ধ কইরা ভিতরে বইসা থাক।’
করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য কোনো ধরনের জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিস লাগে এমন একটা সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডার নিছি। অফিস থেকে কিছুই দেয় নাই। দেশের যে অবস্থা, আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখে, সুস্থ রাখে।’
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৪ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লাখ দুই হাজার ৬৯ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন চারজন।
পিডি/জেএইচ/পিআর