গাইবান্ধাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান ডেপুটি স্পিকারের
গাইবান্ধাবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। ইতিমধ্যেই সেখানকার একটি থানা লকডাউন করায় এ আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আপনাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলছি।’
‘আপনারা বর্তমানে একটি মহামারি সংক্রামক ভাইরাস করোনার তাণ্ডব সম্পর্কে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন।সারা বিশ্বকে আজ এক মহা সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে আপনাদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। বাংলাদেশ সরকার এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সদা সচেষ্ট এবং প্রয়োজনীয় ব্যাস্থা গ্রহণ করেছে। করোনাভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যেটি অতি দ্রুত সংক্রমিত হয়। এর কোনও প্রতিষেধক যেহেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি সেহেতু প্রতিরোধমূলক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সংক্রমণ রোধ করা যায়।’
‘আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা এ কয়েকটা দিন সকল প্রকার গণসমাবেশ ও অহেতুক ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলুন। নিজ গৃহে অবস্থান করুন। অতীব প্রয়োজন ব্যাতীত বাহির বের হবেন না। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সাবান বা হ্যান্ড সেনিটারাইজ দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সরকার ঘোষিত যে কোনো নির্দেশনা মেনে চলুন। টেলিভিশনে নিয়মিত বুলেটিন দেখুন এবং করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা দেখুন, নিজে বুঝুন অন্যকেও বোঝান।’
‘মনে রাখবেন আপনার পরিবার ও প্রতিবেশীর প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সচেতন হউন, অন্যকে সচেতন করুন, নিজে বাঁচুন অন্যকেও বাঁচতে সাহায্য করুন। বিপদেই মনুষত্বের আসল পরিচয়। তাই অবিবেচকের মত নিজের এবং অন্যের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিবেন না। এ দেশ আপনার আমার সকলের।’
‘আপনাদের কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন করুন। যেকোনও দুর্যোগে এ জনবান্ধব সরকার সবসময় আপনাদের পাশে ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।’
‘আমি আবারও আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মেনে প্রত্যেকে নিজ গৃহে অবস্থান করুণ। কোনো প্রবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বা তার অবস্থানের খবর জানলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাতে বাধ্য করুন। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিন। সকলের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। গুজবে আতঙ্কিত হয়ে অযথা অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন।’
‘পরম করুণাময় আল্লাহর রহমতে আপনারা যদি আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা ও সচেতনতার সঙ্গে অবস্থান করেন তাহলে আল্লাহর রহমতে অতি অল্প সময়ে এ সংকট মোকাবিলায় আমরা সফল হব। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন- এই শুভকানায়।’
এইচএস/এএইচ/এমএস