ড্রোন জানিয়ে দেবে আড্ডাবাজদের তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জোর দেয়া হচ্ছে ঘরে থাকাকে। এজন্য সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ ছুটি ঘোষণা করেছে দেশব্যাপী। করোনা সংক্রমণের মাত্রানুযায়ী বিভিন্ন এলাকা ও জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই গলির মুখ বন্ধ করে দিয়ে এলাকার ছেলে-বুড়োরা মেতে উঠছেন আড্ডাবাজি আর ঘোরাঘুরিতে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও নগর পুলিশ পরিচালিত যৌথ অভিযানে এমন বেশ কয়েকটি আড্ডা ভেঙে দিয়েছে। তবে এবার এসব আড্ডাবাজি বন্ধে আকাশ থেকে নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

আড্ডাবাজি বন্ধ করে তরুণদের ঘরে ঢোকাতে গত কয়েকদিন ধরে কাজ করছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

কোতোয়ালি থানা এলাকায় মানুষকে ঘরে থাকতে দিনরাত কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। থানা এলাকার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন নিজেই। কিন্তু তারপরও ঘরে থাকা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বিশেষত তরুণরা কোনোভাবেই বুঝতে চাচ্ছেন না করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা, এর কঠিন পরিণতির বিষয়টি।

যখন কোনোভাবেই তরুণদের ঘরমুখী করা যাচ্ছে না, তখন নগরীর কোতোয়ালি এলাকায় তরুণদের ঘরমুখী করতে পুলিশ নিয়েছে প্রযুক্তির সহায়তা। ব্যবহার করা শুরু করেছে ‘হাই রেজুলেশনের’ ড্রোন ক্যামেরা। অলিগলি না ঘুরে বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে মনিটরিং করছে মানুষের যাতায়াত ও গতিবিধি।

drone

ইতোমধ্যে এক ভিডিও বার্তায় এমন ঘোষণাও দেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের অনেকে।

ড্রোন দিয়ে মনিটরিংয়ের বিষয়ে ওসি মহসীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উপায়ে সচেতন করেছি। তবুও অনেকে অহেতুক ঘোরাফেরা করছে। তাই টহল দেয়া শুরু করি। কিন্তু তাতে দেখা যায়, আমরা গেলে সবাই গায়েব হয়ে যায়। আমরা চলে এলে আবারও আড্ডাবাজি শুরু করে। তাই এখন ড্রোন ব্যবহার করছি। এর মাধ্যমে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আবু আজাদ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।