‘স’মিল শ্রমিকদের জন্য নগদ অর্থ প্রদান ও রেশনিং চালুর দাবি
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতে প্রায় এক মাস ধরে কর্মহীন হয়ে পড়া দেশের লক্ষ্যাধিক ‘স’মিল শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা অচল হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে তাদের পর্যাপ্ত নগদ অর্থ বরাদ্দ, খাদ্যসহায়তা প্রদান, রেশনিং চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ‘স’মিল শ্রমিক ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ জেলায় লকডাউন চলছে। যার কারণে ‘স’মিল সেক্টরেরর শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে অনাহার-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমন কী বন্ধ করা অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না করেই হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজ করে যে মজুরি পেয়ে থাকেন তা দিয়েই জীবনধারণ করা যেখানে কষ্ঠসাধ্য সেখানে কর্মহীন অবস্থায় তাদের অবস্থা বর্ণনাতীত। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নানারকম প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হলেও তার সিংহভাগই মালিকদের স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রয়োজনের তুলনায় ন্যূনতম যেটুকু শ্রমিক-কর্মচারীদের নামে প্রণোদনা ও খাদ্যসহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তার লুটপাট অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই কর্মহীন হয়ে পড়া মানবেতর জীবনযাপন করা ‘স’মিল শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত নগদ অর্থ বরাদ্দ, খাদ্যসহায়তা প্রদান, রেশনিং চালু, সরকারি প্রণোদনা ও ত্রাণ প্রদানে সব ধরনের লুটপাট, অনিয়ন, দুর্নীতি বন্ধ করা, রেশন চালু, কর্মহীনকালীন সময়ের গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল মওকুফসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি জানান তারা।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর