মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পোষাতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার (১০ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র চাষি ও খামারি থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আর্থিক প্রণোদনা, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, কারিগরি সহায়তা এবং মৎস্য ও প্রাণী খাদ্যে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সরকার।
তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দেশের এই ক্রান্তিকালে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট উৎপাদক ও খামারিদের পাশে দাঁড়িয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা দিতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বানও জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত দেশে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনার কারণে কোনো প্রকারেই যেন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মানুষের আমিষ ও পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বড় জোগান আসে এই খাত থেকে। তাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই খাতের উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে হবে।’
মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদন ব্যাহত হলে করোনা পরবর্তীকালে খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অফিস ও মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এছাড়া মাছ, দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট খাতের উৎপাদন প্রক্রিয়া যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বানও জানান শ ম রেজাউল করিম। পরিবহন ও বিপণনে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের জন্য প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা সংকটে মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করছেন এবং সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।
এইউএ/এমএফ/এমএস