দুইমাস পর হাত নাড়িয়ে সিগন্যাল দিচ্ছেন ট্রাফিক কনস্টেবল বক্কর
বেলা সোয়া ১১টা। রাজধানীর নীলক্ষেতের চৌরাস্তায় প্রখর খরতাপে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছেন ট্রাফিক কনস্টেবল আবু বক্কর। ইউনিফর্ম ছাড়াও পড়েছেন হেড কভার, ফেইস শিল্ড, মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রায় দুই মাস গণপরিবহন বন্ধ ছিল। সরকারি নির্দেশে আজ ১ জুন থেকে আবারও গণপরিবহন চালু হয়েছে। রাজপথে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের মতো তাকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হতে দেখা যায়। হাত উঁচিয়ে ও নাড়িয়ে একবার বামে একবার ডানের গাড়ি চলাচলের নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আবু বক্কর বলেন, সরকারি ছুটি ঘোষণা ও গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পর আজই প্রথম সিগনালে দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। খুব বেশি না হলেও মাঝে মাঝেই ছোটখাটো যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর তাই একটু ব্যস্ততায় সময় কাটছে বলে জানান।
তিনি বলেন, গত দুমাস চিরচেনা ঢাকা শহর যেন অচেনা হয়ে গিয়েছিল। দিনের বেলাতেও গা ছমছম পরিবেশ ছিল। ডিউটি থাকলেও কাজের চাপ ছিল না। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে ছিলেন এবং এখনো আছেন বলে জানান।
সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী আবার কেউবা ইউনিফর্মের পাশাপাশি হেড কভার, ফেইস শিল্ড, মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরিধান করে ডিউটি করছেন। গত বেশ কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে তাদের দেখা মেলেনি।রাস্তাঘাটে যানবাহন না থাকায় তারা ট্রাফিক বক্সে বেশিরভাগ সময় বসে সময় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ট্রাফিক কনস্টেবল এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, গণপরিবহন চালু হওয়ায় এবং রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ে ডিউটি করতে ভয় না পেলেও এখন ভয় পাচ্ছেন বলে তারা জানান।
এমইউ/এনএফ/পিআর