বিষোদগার ছাড়া এ সংকটে কী করেছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০
ফাইল ছবি

বিষোদগার ছাড়া এ সংকটে কী করেছে বিএনপি এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো অভিযোগ করেছেন জনগণের জীবন জীবিকার ওপর সরকারের নাকি কোনো দায়দায়িত্ব নেই। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই- জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার যখন নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আপনারা সমালোচনা করেছিলেন কেন? লকডাউনের জন্য চাপ তৈরি করে এখন তিনি জনগণের জীবিকার কথা বলছেন। বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনৈতিক চরিত্র এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের অবহেলা আর অজ্ঞতার জন্য নাকি পরিস্থিতি এমন হয়েছে। আমি জানতে চাই করোনা মহামারিতে বিশ্বের কোন দেশ বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে সফলতা পেয়েছে? কোন দেশ হিমশিম খাইনি? সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জনগণকে সাথে নিয়ে সংকট মোকাবেলার। আপনারা তো বলেছিলেন রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকবে। সেটি এখনো হয়নি বলে কি আপনাদের গাত্রদাহ? সরকার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা বিষোদগার ছাড়া এ সংকটে কী করেছেন? সরকারকে সহযোগিতা দিয়েছেন জনকল্যাণে? যাদের সময় দেশ দুর্নীতিতে অতলে ছিল, দুর্নীতিবাজদের ছিল অভয়ারণ্য, যারা নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭-ধারা বিভক্ত করে দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে এনেছে। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতির বিচার করেনি- তাদের মুখে দুর্নীতির কথা বলা ভূতের মুখে রাম নাম।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সততা সর্বজন বিদিত। তিনি পেরেছেন নিজ উদ্যোগে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালাতে। শুদ্ধি অভিযান এগিয়ে নিতে। দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। বিএনপির দুর্নীতি লালন, সৃজন, সংক্রমণ ও বিকাশ ছাড়া আর কী করেছে? জনগণের কাছে আজ সবই দিবালোকের মতো পরিষ্কার।

এইউএ/এসএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।