করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলে আরও ৪৭ জন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন চার হাজার ১৭৪ জন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২১১ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন লাখ ছয় হাজার ৭৯৪ জনে।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে গত একদিনে মৃত ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৩৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৬ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৩ হাজার ৭৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ১২৬-এ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ১৫ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ২৭৪ জন (৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ) এবং নারী ৯০০ জন (২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ)।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৬ জন ছিলেন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগের সাতজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের ছিলেন চারজন।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

গতকালের পরিস্থিতি
গতকাল বৃহস্পতিবারের (২৭ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। আর ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা মিলেছে আরও দুই হাজার ৪৩৬ জনের দেহে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

বৈশ্বিক সর্বশেষ
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দুই কোটি ৪৬ লাখের ৪৩ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আট লাখ ৩৬ হাজার প্রায়। তবে এক কোটি ৭১ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

এমইউ/এইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।