করোনায় সরকারি চাল পেয়েছে এক কোটি ৬ হাজার পরিবার
অডিও শুনুন
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটি ৬ হাজার পরিবার সরকারি ত্রাণের চাল পেয়েছে।
করোনা মহামারি চলাকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিডের সময় কী কী দেয়া হলো এবং এরপর আবার অসুবিধা হলে কী করবে সে বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ত্রাণ মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস মোকাবিলার সময় বেশকিছু নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। দুই লাখ ৩৫ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে। ১০০ কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকার ত্রাণ দেয়া হয়েছে। শিশুখাদ্য কিনতে ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য কিনতে দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।’
‘ঢেউটিন দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ বান্ডিল। গৃহ নির্মাণের জন্য দেয়া হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এক লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) চাল এক কোটি ৬ হাজার ৮৬৯টি পরিবারের মাঝে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে এক লাখ ৯৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। কোভিড ও আম্ফান মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়েছে।’
গত ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ১৭ হাজার ৫টি দুর্যোগ সহনীয় গৃহ উদ্বোধন করেছেন, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে দেয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২ হাজার ২০০টি দুর্যোগ সহনীয় গৃহ বাবদ ৫৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরএমএম/এফআর/এমএস