করোনা টিকার মান, সংরক্ষণ ও বিতরণ নিয়ে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
করোনাভাইরাসের টিকার মান সংরক্ষণ, বিতরণ, ধারণ ক্ষমতা এবং মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা। দেশে এলে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানসম্পন্ন টিকা সাশ্রয়ী দামে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত টিকা বিষয়ক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন তারা।
করোনা টিকার মান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘ভ্যাকসিনের মান যাচাইয়ে মাত্র ১০ মাস সময় যথেষ্ট নয়, তাই আগামীতে যে ভ্যাকসিন আসবে সেটা অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর কেউ অসুস্থ হয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বের মতোই বাংলাদেশে করোনা কমার জোরালো কোনো লক্ষণ নেই। প্রথমে বিজ্ঞানীরা করোনার টিকা আসতে কয়েক বছর লাগবে বলেছিল। কিন্তু মাত্র ১০ মাসেই টিকা চলে এসেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই শুরু হয়েছে টিকা প্রদান কার্যক্রম।’
ডা. মুশতাক আরও বলেন, ‘সরকার বলছে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা পাবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে বেক্সিমকো এবং ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে সেটার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যেকোনো দিন এই ভ্যাকসিন আসতে পারে।’
তবে জানুয়ারিতে কিংবা জানুয়ারি শেষে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টিকা কবে আসতে তা এখনও ঠিক হয়নি। এছাড়া টিকা সংরক্ষণ, বিতরণ ব্যবস্থা ও ধারণ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. অধ্যাপক রশিদ মাহবুব ডা. অধ্যাপক রশিদ মাহবুব বলেন, ‘ক্ষমতাবানরা প্রথমে টিকা নিশ্চিত করতে চাইবেন।গরিব ও দরিদ্র মানুষ ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এক্ষেত্রে টিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক প্রমুখ।
এসএম/এসএস