যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা : মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় অবস্থান
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মোটরসাইকেলসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকরা।
মোটরসাইকেল নিয়ে চালকরা রাস্তায় অবস্থান নেয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বেলা ১১টা থেকে তারা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কয়েকশ মোটরসাইকেল প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ইমরান নামের একজন বলেন, ‘আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। আমাদের মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের সুযোগ দিতে হবে। এ দাবি আদায় করেই আমরা রাস্তা ছাড়ব।’
কীভাবে সবাই একত্রিত হলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে।’
সোহেল নামের আরেকজন বলেন, ‘বাসে, সিএনজিতে যাত্রী পরিবহনে কোনো সমস্যা নেই। সবাই কাজে বের হচ্ছে। শুধু আমাদের ক্ষেত্রে সমস্যা। আমরা আমাদের রুটি-রুজির জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। যতক্ষণ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের অনুমোদন দেয়া না হবে, তৎক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়ব না।’
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বুধবার (৩১ মার্চ) বিআরটিএর উপ-পরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য মোটরযানে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের উপরোক্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনাও দিয়েছে বিআরটিএ।
এমএএস/এমএইচআর/এএসএম