করোনায় মৃত্যুতে আবারো শীর্ষে ঢাকা
![করোনায় মৃত্যুতে আবারো শীর্ষে ঢাকা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/corona-1-20210727195403.jpg)
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রেকর্ড ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগওয়ারী মৃত্যুর হিসাবে ঢাকায় সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা বিভাগের পরই মৃত্যুর হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬১ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ৫০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, বরিশালে ১৩ জন, সিলেটে সাতজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন মারা গেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহেও বিভাগওয়ারী মৃত্যুর হিসাবে খুলনা কিংবা চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া যেত। তবে টানা কয়েক দিন ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তথ্য জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ৫২ হাজার ৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৯২৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জনে।
একদিনে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৮১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব আটজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭৮ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৫০ জন, আশির্ধ্ব ১৭ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা যান।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এএএইচ/এমএস