দেশে করোনা শনাক্ত সাড়ে ১৪ লাখ ছাড়াল
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জনে।
এছাড়াও একই সময়ে সারাদেশে আরও ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ২৩ জনে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৭২৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ৯২৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৩টি।
এতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য ১৮ শতাংশ। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
একদিনে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৮ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী ছয়জন মারা গেছেন।
বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৩ জন, রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় ১৫ জন, বরিশালে চারজন, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন করে মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস