অয়েল ট্যাংকার থেকে ১১ হাজার লিটার ভোজ্যতেল চুরি, গ্রেফতার ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৮ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙর

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙর থেকে চুরি করে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল এনে খালাসের সময় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা নৌ পুলিশ। তেলগুলো বিদেশ থেকে বেসরকারিভাবে আমদানি করা অয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে আনা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নগরের পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাইটারেজ জাহাজ থেকে ভাউজারে (তেলবহনকারী গাড়ি) খালাসের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রায় ১১ হাজার লিটার ভোজ্যতেলসহ লাইটারেজ জাহাজটি এবং দুটি তেলের ভাউজার জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির (৪৫), মো. দুলাল বেপারি (৫৫), মো. ফিরোজ বেপারি (২৭), আব্দুর রহমান (২৮), মো. সাকিল (২৪), মো. আব্দুর রহমান (৩২) আব্দুল জলিল হাওলাদার (৪০), মো. ফরিদ আকন (২৮), মো. বাচ্চু মিয়া (৪৮), মো. সোহেল হাওলাদার (২২), মো. রুবেল (৩০) ও মো. রাব্বি (২২)। তাদের মধ্যে পাঁচজন লাইটারেজ জাহাজের কর্মী এবং সাতজন শ্রমিক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, তেলগুলো প্রথমে বহির্নোঙরে ভাসতে থাকা একটি অয়েল ট্যাংকার থেকে চুরি করে তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামের লাইটারেজটি নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে এনে পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় ভাউজারে খালাস করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তেল চুরির ঘটনায় গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে লাইটারেজ জাহাজের মালিক হারুনর উর রশিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি এবং পালিয়ে যাওয়া শ্রমিক জসিম উদ্দিনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে (শুক্রবার) আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

মিজানুর রহমান/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।