মারিয়া হত্যার দায়ে দুই জনের ফাঁসি


প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে কিশোরী মারিয়া হত্যার দায়ে বাড়ির কেয়ারটেকার সুমন শেখ ও দারোয়ান আব্দুল আলিমের ফাঁসি দিয়েছে আদালত। একই ঘটনায় দারোয়ানের স্ত্রী শেফালী বেগমকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ আদেশ দেন। এসময় আসামি আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সনের ১৪ জুলাই সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার এরশাদ নগর হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামানের মেয়ে মারিয়া আক্তার স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়।

পরে বাড়ির কেয়ারটেকার সুমন শেখ ও দারোয়ানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারাও মারিয়ার খবর বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে মারিয়ার আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ির গ্যারেজের ভেতর মারিয়ার খোঁজ নিতে চাইলে দারোয়ান আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করে।

রাতে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে গ্যারেজের চাবি নিয়ে তালা খুলে সুমনের চৌকির নিচ থেকে মারিয়ার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তারুজ্জামান ওই বছরের ১৫ জুলাই জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলম চাঁদ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সুমন শেখ ও আব্দুল আলিমকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করে, সরকারি পিপি অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. এস এম রফিকুল ইসলাম মুকুল। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।