মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যায় না : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, জিহাদ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা যায় না। জিহাদ কোনো ব্যক্তি করতে পারে না। জিহাদ করার দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের। এদেশের মানুষ ধর্মান্ধ না, এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। মসজিদে ঢুকে মানুষ হত্যা করে বেহেশেতে যাওয়া যায় না।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরে কমিউনিটি পুলিশিং এর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুলিশ এবং জনগণ এক কাতারে দাঁড়িয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল জানিয়ে আইজিপি বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ দূরত্ব দূর করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করা হয়েছে।
আইজিপি আরো বলেন, মিশরের ব্রাদারহুড দলের আদলে এ দেশে গড়ে ওঠা স্বাধীনতা বিরোধীরা নাশকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা করেছেল তা নস্যাৎ করেছে পুলিশ বাহিনী।
মাদক ও জঙ্গিবাদ রুখতে পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় জনগণকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে যুবকদের জিহাদের নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে প্ররোচিত করা হচ্ছে। পুলিশের একার পক্ষে সমাজের অবক্ষয় এবং সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের এলাকায় জনমত তৈরিতে করতে হবে। কারণ কোনো সমাজে বসবাসকারীরা যদি মনে করেন তার এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি এবং জঙ্গিবাদ থাকবে না তাহলে সেখানকার বাসিন্দারা শান্তিতে বসবাস করবেন।
তিনি বলেন, কোনো ওসি যদি কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যরে সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অথবা তাদের যুক্তিযুক্ত কাজে সমর্থন না করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অবজ্ঞাকারি পুলিশ সদস্যকে ওসি পদে প্রমোশন দেয়া হবে না। তবে কমিউনিটি পুলিশিং থেকে সন্ত্রাসী, কালোবাজারি দালাল এবং খারাপ লোকদের বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, মূলহোতা সনাক্ত হয়েছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পুরো তদন্ত শেষ হলেই চার্জশিট প্রদান করা হবে।
নগরীর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নূর উন নবী, জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
জিতু কবীর/এআরএ/এবিএস