হিন্দু আইনে ‘তালাক’ অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি


প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শাশ্বত হিন্দু বিধি বিধান ধ্বংস করে হিন্দু আইনে ‘তালাক’ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট। একইসঙ্গে এনজিও বন্ধে আইন করার দাবিও জানান তারা। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

হিন্দু বিবাহ আইনে তালাক ব্যবস্থা সংযুক্ত করতে মানবাধিকার কর্মী এলিনা খানের হাইকোর্টে রিট করার প্রতিবাদে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাজার বছর ধরে অবিকৃতভাবে চলমান শান্তিপূর্ণ পরিবার ব্যবস্থায় দুটি মানুষ একত্রিত হয়। হিন্দু পুরুষের জীবনে নারী আসে অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে, তাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এমনকি স্বামীর থেকে পৃথক থাকলেও নারীর ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

বক্তারা পারিবারিক বিচ্ছেদকে এনজিওর প্রচারণা উল্লেখ করে বলেন, দুশ্চরিত্র স্বামী, অবৈধ বিবাহ, রাষ্ট্রদ্রোহী, দীর্ঘদিন প্রবাসে বা পুরুষত্বহীন হলে স্ত্রী তাকে পরিত্যাগ করতে পারে, এর জন্য নতুন আইনের প্রয়োজন নাই। অবিলম্বে এনজিওদের পরিবার, সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত করতে আইন পাশ বন্ধ করতে করতে হবে। হিন্দু শাস্ত্র বিরোধী তালাক ব্যবস্থা কোনো অবস্থাতেই হিন্দু আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারকে উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়ন না করলে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় হিন্দু মহিলা সমাবেশ পূর্বক পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।

সংগঠনটির সভাপতি ড. সেলিনা দত্তের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে হিন্দু মহিলা জোটের নির্বাহী সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাগচী, বিথী দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দেবাশীষ মন্ডল, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এএস/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।