তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের পরিবারের প্রতীকী অনশনে
আশুলয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত-আহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। ওই ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারকে জরুরি সহায়তা হিসেবে যে সাত লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে তা না কাটার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।
অনশনে বক্তারা বলেন, তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে ৩ বছর পর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অথচ লজ্জাজনক যে, নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণের হিসাব থেকে জরুরি সহায়তা বাবদ ৭ লাখ টাকা (প্রধানমন্ত্রীর ২ লাখ, দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ১ লাখ, ব্যাংকার অ্যাসোসিয়েশনের ১ লাখ, বিজিএমইএ-এর ১ লাখ, এবং লিয়াংফুর ১ লাখ) কাটার পায়তারা চলছে। অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তে কারখানায় কর্মরত (নিহত-আহত ছাড়া) শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুসারে ইতোপূর্বে আলোচিত পেইন অ্যান্ড সাফারিং বাবদ ৫ লাখ টাকা না দেওয়ার টালবাহানা শুরু হয়েছে।
ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সমন্বয়কারী কামরুল আহসান, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি এম দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের নির্মম মৃত্যু হয়।
এএস/এনএফ/এমএস