পরীক্ষায় বসতে পারছেন না ১৩০ জনের ৫১ জনই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫১ জনই ডিসকলিজিয়েট হয়েছেন। ফলে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না এসব শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই আমরা চলছি। ক্লাশে উপস্থিত না থাকার কারণেই শিক্ষার্থীরা ডিসকলিজিয়েট হয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর আগে শূন্য শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছে, তবে নতুন সভাপতি এসে কোনোরকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই ক্লাশে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন। ফলে এরকম হয়েছে।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের সভাপতি কী করছে আমি তা জানি না। আমি নিয়ম অনুযায়ীই চলবো।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ শতাংশ ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হয়। বিশেষ কারণে তা সম্ভব না হলে, জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে।
এদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের যাদের ৬০ শতাংশের নিচে ক্লাশে উপস্থিতি আছে তারাও যোগ দেন। দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান তারা।
বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, এর আগে আমাদের বিভাগে ৬০ শতাংশের অনেক কম উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এ বছর ক্লাশে ৬০ শতাংশের কম উপস্থিতি আছে, এমন শিক্ষার্থীদের ডিসকলিজিয়েট করে তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। এতে ৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। বিভাগে সভাপতি পরিবর্তন হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
তাদের দাবি মেনে নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বলেন, ‘৬০ থেকে কমিয়ে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত যাদের উপস্থিতি ছিল তাদেরও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করে। আর অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের বাহিরে আমি যেতে পারবো না।’
রাশেদ রিন্টু/বিএ