সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : এবার ১৪ শিক্ষার্থী বহিস্কার


প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুনের ঘটনায় ইউনিভার্সিটির ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করার ১২ দিনের মাথায় এবার আরও ১৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করলো ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক, কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গুম ও হত্যার হুমকি দেয়ায় তাদের বহিস্কার করা হয়েছে।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ জাগো নিউজকে জানান, বুধবার ইউনিভার্সিটির প্রক্টরিয়াল বডির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রক্টরিয়াল নীতিমালার ৮ এর (ক) (খ) (ঘ) এবং ৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই ১৪ জনকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।

একই সঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না- এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ছাত্রলীগ কর্মী ও ইউনির্ভাসিটির বিবিএর ছাত্র সুমন সুত্রধর, আবুল হাসনাত শুভ, মো. সাইফুল আলম রাহেল, আব্দুল কাদের জেবু, হিমেল দাশ, অভিত রায় ঝলক, মো. আলমগীর হোসেন খান, কৃষাণ বিশ্বাস, এলএলবির রুবেল মিয়া, আক্তারুজ্জামান ইমন, ইংরেজির জাফর আহমেদ, মুহিউদ্দিন, সিএসই’র রাজু পাঠান, হাওনান আহমদ নাহিয়ান।
 
ইউনির্ভাসিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি প্রদানের ঘটনায় মঙ্গলবার কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (নং-১০৫১) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য গঠিত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের না রাখায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার প্রক্টরের সঙ্গে অসদাচারণ করেন। একপর্যায়ে তারা প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি গ্রুপ পরিবর্তন করায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বিবিএ বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুন হয়।

এঘটনায় ২০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনির্ভাসিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ সাগরকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিরের বড় ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার নামীয় সব আসামিসহ ১৫ জন শিক্ষার্থীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভির ফুটেজেও হত্যাকাণ্ডে বহিস্কৃতরা অংশ নেয়ার চিত্র ধরা পড়ে।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এবং ছাত্র বহিস্কারকে কেন্দ্র করে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।