বইমেলায় মুক্তমনের ঠিকানা মুক্তমঞ্চ


প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ। মাটি খুড়ে স্টেডিয়াম সদৃশ গ্যালারি থাকার কারণে মঞ্চটি বিশেষত্ব ধারণ করে। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে মঞ্চটি।
 
তবে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রাণ পেয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ। প্রতিদিনই একাধিক নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।
ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন মেলা শুরু হয় বিকাল সাড়ে তিনটায়। আর সন্ধ্যা হতে না হতেই পর্দা ওঠে মঞ্চের। দর্শকে ভরে যায় মঞ্চের চারপাশ। মুক্তমনের মানুষেরা নাটকের স্বাদ নেয় খুব কাছে থেকে।

mukto  
বাংলা একাডেমির সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্যরা প্রতিদিন এখানে অংশ নিয়ে আসছেন। নাটক মঞ্চস্থ শুরু হয়েছে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত।

কথা হয়, নাট্যকর্মী প্রবীর দত্তের সঙ্গে। বুধবার মুক্তমঞ্চে তার রচিত ‘তন্ত্র বনাম মন্ত্র’ শিরোনামের নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক। প্রবীর বলেন, সাহিত্য আর শিল্পের তাগিদেই তো বইমেলা। সেই তাগিদ অনুভব করেই আমারও এখানে নাটক মঞ্চস্থ করি।’

mukto
মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র নিয়েই নির্মিত নাটকগুলো এখানে পরিবেশন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নাটকের মধ্য দিয়ে একজন দর্শকের বিবেকে যত দ্রুত নাড়া দেয়া যায়, তা অন্যভাবে হয় না।’

mukto
রোজ মুক্তমঞ্চে নাটক দেখতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বইমেলা উপলক্ষে গত দুই বছর ধরে এখানে নাটক দেখতে আসি। মুক্তমঞ্চে নাটক দেখার মজাই আলাদা। একেবারে খোলামেলা পরিবেশ। ফ্রি দেখতে পাওয়া। সব মিলে নাটক দেখার সঠিক পরিবেশ এখানেই। সঙ্গে বন্ধুরাও থাকনে বলে জানান তিনি।
     
এএসএস/এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।