প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে রাতারগুল
প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলারবন ‘রাতারগুল। শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীতে যে গুটি কয়েক জলারবন আছে তার মধ্যে রাতারগুল একটি। বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাতারগুলে পর্যটন আশীর্বাদ না অভিশাপ?’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি (জিইএস)’ এ সেমিনারের আয়োজন করে। বিকেল ৪টায় একাডেমিক ভবন ‘এ’ এর গ্যালরি কক্ষে এ সেমিনার আনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সহকারী প্রকাশনা তাসনীমা মুকিত রিহার সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির ‘বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌরভ দাস, ‘ভূগোল ও পরিবেশ’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম,‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’র প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ সবুজ বিপ্লব সমিতি’র আহ্বায়ক হারিছ মিয়া, জিইএস’র সভাপতি অর্চিষ্মান দত্ত, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মজুমদার, প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক সুলতান মাহমুদ শোভন এবং আজীবন সদস্য অনিমেষ ঘোষ অয়ন ও মো. রাফসান হোসাইন। সেমিনারে রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দা এবং জিইএস-এর সদস্যদের পাশপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।
সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা রাতারগুলে এসে ভিড় জমান শুধু এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। পর্যটকেরা যেমন এর শোভা দর্শনে আসেন তেমনি তাদের কারণেই এই জলারবন দিন দিন তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তাই রাতারগুলকে পুরোপুরি পর্যটন কেন্দ্র না বানিয়ে এর একটি নির্দিষ্ট অংশকে পর্যটনখাতে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
আব্দুল্লাহ আল মনসুর/বিএ