পেট্রলবোমায় নিহত মা-ছেলের মরদেহ উত্তোলন
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পেট্রলবোমায় নিহত মা-ছেলের মরদেহ এক বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ নিহতদের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে নিহতদের পারবারিক কবর স্থান থেকে মরদেহ দুটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় পলাশ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার দাস, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইব্রাহিম ও পলাশ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতরা হলেন পলাশ বালুচর পাড়া এলাকার মৃত আরমান মিয়ার বড় মেয়ে আসমা বেগম ও তার ছেলে শান্ত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইব্রাহিম জানান, ২০১৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধ চলাকালে রাত ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় দুর্বৃত্তরা আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাসের ২১ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন এবং ৮ যাত্রী মারা যায়। ঘটনার পর একজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হলেও বাকি ৭ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বচ্ছতা, ন্যায় বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আদালত নিহতদের মরদেহ উত্তেলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ময়না তদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ আজই পুনরায় দাফনের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৮ জন নিহতের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।
সঞ্জিত সাহা/এফএ/এবিএস