যাত্রী ছাউনিতে পুলিশের চেক পোস্ট
দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশেই ছিল যাত্রী ছাউনিটি। রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রীর ধুলোবালি জ্যাম ঠেলে অনেকেই ছাউনিটিতে বিশ্রাম নিতেন। হেঁটে যাওয়ার পথে একবার হলেও ছাউনিটির নিচে দাঁড়াননি ঢাকা শহরে এমন লোক পাওয়া মুশকিল। তবে এখন সেখানে আর কোন যাত্রীছাউনি নেই। জায়গাটি এখন শুধুমাত্র পুলিশ চেকপোস্ট। সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
রামপুরা বিটিভি ভবন সংলগ্ন বাস স্টপেজে গিয়ে দেখা যায়, ছাউনির মূল অংশটি দখল করে তৈরি হয়েছে পুলিশের স্থায়ী চেকপোস্ট। চেকপোস্টের স্পন্সর করেছেন ম্যাক্সিস গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে কথা হয় সাইদুর রহমান নামে রিয়েল ষ্টেট কোম্পানিতে কর্মরত বংশালের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি গত ৪ বছর ধরে প্রতিদিন এই পথেই যাতায়াত করেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ৩০ মিনিট হেঁটে আমি আগে প্রতিদিন এই ছাউনির নিচে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতাম। কিন্তু এখন সেখানে পুলিশ স্থায়ীভাবে চেক পোস্ট নির্মাণ করায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে হয়।
ফ্লাইওভার আর ইউলুপ তৈরির কারণে এই সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। নেই কোন ফুটপাথ। এছাড়া চেকপোস্টটির কারণে হাঁটতে কষ্ট হয় পথচারীদের।
সাদিয়া জাহান নামে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফ্লাইওভার আর বাসের অপেক্ষায় আগে অনেক মেয়ে ছাউনিটিতে বসে থাকতো। তবে এখন পুলিশের কারণে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

তবে সিটি কর্পোরেশনের কার অনুমতিতে এই ছাউনিটি পুলিশের স্থায়ী চেক পোস্ট হলো এর উত্তর নেই কারো কাছেই। এ বিষয়ে চেকপোস্টের দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য জানান, আগে স্থানটিতে বাস থামার কারণে যাত্রী ছাউনি ছিল। তবে এখন কোন বাস থামতে দেয়া হয়না। তাই চেকপোস্ট করা হয়েছে।
রামপুরা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন , যাত্রী ছাউনির জন্য আলাদা জায়্গা রয়েছে পুলিশ চেক পোষ্টের পাশে। সাধারণ মানুষ এখন সেখানে দাঁড়ায়। চেক পোষ্টের কারণে যাত্রীদের কষ্ট হয় বলে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি।
এআর/এমএমজেড/এএইচ/পিআর