মালয়েশিয়ায় ক্রিকেট উন্মাদনায় প্রবাসীরা
মালয়েশিয়ায় ক্রিকেট উন্মদনায় প্রবাসীরা। ক্রিকেটপ্রেমীরা খেলা দেখতে অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয়, কোম্পানির মেসে, শপিং মলের টিভি সেটের সামনে দণ্ডায়মান ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে বসে খেলা দেখছেন।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফাইনালে আজ চরম উত্তেজনার ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি টাইগাররা। গতবার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়ান ট্রফি এবার বাংলাদেশের হবে, এই প্রত্যাশায় গোটা বিশ্বে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে দুই রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন হারের পর মাঠেই সাকিব-মুশফিকের কান্নার সঙ্গে কেঁদেছিল পুরো বাংলাদেশসহ প্রবাসীরা। এবার প্রতিপক্ষ ভারত তুলনামূলক ভালো দল হলেও বাংলার মানুষ আর কাঁদতে চায় না। চ্যাম্পিয়ান পাকিস্তানকে হারিয়ে সেই প্রত্যাশার জায়গা তৈরি করেছে টাইগাররা।
ক্রিকেট উন্মদনায় শনিবার রাত থেকেই ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে বাংলাদেশ লেখা বিসিবির সিল বসিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বদলে নিয়েছেন প্রোফাইলের ছবি।
দুপুরের পর অনেকেই কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে নিজ বাসায় বা বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখার জন্য ছুটেছেন। সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে বাংলাদেশের চার-ছক্কার জয়ধ্বনি দিতে মালয়েশিযার বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কোতারায়া, চৌকিট রেস্টুরেন্ট আল জান্নাত, ক্লাং, জহুরবারু, মালাক্কা, শাহ আলম, বুকিত বিনতাং, পুডু, সারডাং, পেতালিং জায়া, কোয়ান্তান, পেনাং, গেন্তিং, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড, ভিবিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটিসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখছেন সবাই।
এদিকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শপিং মলেও এসে যেন কেউ খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত না হন সে ব্যবস্থা-ও করে রেখেছে শপিং মলের কর্তারা। কোতারায়া বাঙালিপাড়ায় দেখা গেছে, রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে টিভি সেট, সন্ধ্যার পরে যেন কারোরই খেলা দেখতে কোনো অসুবিধা না হয়।
ক্রিকেট উন্মাদনায় বাংলাদেশিদের প্রোফাইল পিক বদলানোর ঘটনায় মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজন বেপারি এ প্রতিবেদককে বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কি হিসাবটা দেবে- বাংলাদেশের সমর্থনে কতোজন প্রোফাইল পিক পরিবর্তন করলো।
অপরদিকে মোফাজ্জল হোসেন সরকার ফেসবুকে লিখেছেন, আমাদের হাইপ তুলতে মন চাইছে, আমরা তুলেছি। সবাই প্রোপিক বদলাচ্ছে, বদলাবে। আমি সবারটায় লাইক দিয়েছি। দিন শেষে জিতলে জিতবো, হারলে হারবো। কারও কোনো সমস্যা? সমস্যা হলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। এরপর তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন চলো বাংলাদেশ।
প্রবাসীরা বলছেন, আমরা জিতবো, আমাদের সেই মনোবলটা তৈরি হয়ে গেছে। এখন যদি সামর্থ্যের শতভাগ দিয়েও বাংলাদেশ না জিততে পারে, আমি আসলে অখুশি হবো না। কারণ, দুইটা সম মাপের দলের ভিতরে হার-জিত যেকোনোটাই হতে পারে। আমাদের জেতার মানসিকতা তৈরি হয়ে গেছে সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
শত শত প্রবাসী খেলা দেখতে টিভির সামনে। কারও ভেদাভেদ নেই । সবাই উল্লাসে চিৎকার করছে, সবার মুখেই একটি নাম- বাংলাদেশ।
বিএ