দুদকে জাহাঙ্গীর

বরাদ্দ পেয়েছি ৬৫০ কোটি, গল্প সাড়ে ৭ হাজার কোটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, দুদক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প সাজিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা দিয়েছে তাদের কোনো হদিস নেই। অভিযোগকারীদের ঠিকানার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের গল্প সাজানো হয়েছে। অথচ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার কাজ দিয়েছে। সব কাজ চলমান। সে জায়গায় কাগজে লিখে দিয়েছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ। কে বা কারা লিখেছে এর কোনো ডকুমেন্ট নেই।

দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১০টার পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান। পরে দুদক কার্যালয়ে থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন গাজীপুরের সাবেক এ মেয়র।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুদক আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। দুদক বলেছে তারা এ অভিযোগগুলো পেয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করছে। দীর্ঘ সময় আমি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি বলেছি, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

তিনি বলেন, সর্বশেষ আমার নামে একটি ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেখানো হয়েছে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আপনারা জানেন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললে মেয়র এবং সিইওর যৌথ সিগনেচার লাগে। আমার সিগনেচার বাংলাদেশের মধ্যে গোপনীয়তার কিছু নেই। ছাত্রজীবন থেকে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ কর্মস্থল, আমার পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড ও সিটি করপোরেশেনে প্রত্যেকটি জায়গায় আমার সিগনেচার আছে। সিগনেচার ব্যতিক্রম রেখে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। আমি বলেছি, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ব্যাংকে কে বা কারা ভুয়া সিগনেচার দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছে সেটির বিচার আমিও চাই।

এ প্রসঙ্গে সাবেক এ মেয়র আরও বলেন, সেজন্য আমি দুদকে কয়েকশ সিগেনেচার দিয়ে গিয়েছি। আমি বলেছি আমার যেসব সিগনেচার আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হোক। প্রয়োজনে ফরেনসিক করা হোক। আমার মতো যেন বাংলাদেশের কেউ হয়রানির শিকার না হয়।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি যে জনগণের জন্য কাজ করেছি সেটা পরীক্ষিত। গাজীপুরে আমি তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছি, গাজীপুরের মানুষ আমাকে যেমন স্মরণ করেছে, আমার মাকেও সেখানে ভোট দিয়ে জায়গাটা পবিত্র রেখেছে।

এসএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।