যৌন দাসীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আইএসের জোর
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) যৌনদাসীদের জন্য গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। যৌনদাসীরা যেন গর্ভবতী হয়ে না পড়ে এবং জঙ্গিদের কাছে যেন নিয়মিত তাদের পাঠানো যায় সে লক্ষেই এ ব্যবস্থা চালু করেছে আইএস।
ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসা ৩৫ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রকাশিত দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীরা যেন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করে সেটা গর্ভনিরোধক বড়ি বা ইঞ্জেকশন হোক তা দেখতো আইএস। কখনও কখনও জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য উভয়পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় যৌনদাসীদের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হযয়েছে, আইএস সদস্যদের যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য যৌন দাসী তৈরি রাখতে জোর করে এক নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে, অন্যদেরও তা করতে জোর করা হয়েছে।
আইএসের হামলা থেকে আত্মরক্ষায় প্রায় পাঁচ লাখের মতো ইয়াজিদি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উত্তর ইরাকের কুর্দিস্তানের শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। আইএস জঙ্গীদের কাছে ধর্ষণের শিকার প্রায় ৭০০ ইয়াজিদি নারী ইরাকে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই ক্লিনিকের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, আইএসের হাতে বন্দি থাকার সময় এসব নারীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ নারী গর্ভবতী হয়েছেন।
এই ক্লিনিকটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইরাকি স্বাস্থমন্ত্রণালয়ের দোহুক দপ্তরের প্রধান ড. নেজার ইসমেত তায়িব বলেন, গর্ভবতী নারীর যে সংখ্যা তারা পেয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক পাওয়া যাবে বলে তারা ধারণা করেছিলেন।
এসআইএস/এবিএস