সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি


প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণের জন্য গত এক বছর ধরে চলছে বাঘ শুমারি। ক্যামেরা ট্র্যাপিং বা ফাঁদ পেতে ছবি তোলা পদ্ধতির এই গণনা এখন শেষের পথে।

ধারণা করা হচ্ছে আগামী জুন-জুলাই নাগাদ বাংলাদেশের সুন্দরবনে কত বাঘ আছে তার একটা চূড়ান্ত ও যথাযথ সংখ্যা পাওয়া যাবে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৪-০৫ পাগ-মার্ক বা পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে বাঘ শুমারি করা হয়েছিল। সেসময় ওই পদ্ধতিতে বাংলাদেশ অংশে ৪৩০টি এবং ভারতীয় অংশে ২৭০টি বাঘ রয়েছে বলে জানা যায়।

কিন্তু কর্মকর্তারা এখন বলছেন, সুন্দরবনের জন্য পাগ-মার্ক পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এত বাঘ সুন্দরবনে কোনও সময়েই ছিল না।

জানা যাচ্ছে, গত একমাসে নীলকমলের বিভিন্ন পয়েন্টে কমপক্ষে ত্রিশ বার বাঘের ছবি ধরা পড়েছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, নীলকমলের চৌত্রিশটি পয়েন্টে এখন পর্যন্ত ৫-৬টি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

চলতি বছরেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত টাইগার স্টকটেকিং সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সাল নাগাদ একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে সারা বিশ্বের সব বাঘ গণনার কাজ শেষ করবার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে যে সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার রয়েছে, তার মধ্যে সাড়ে ১৩’শ বর্গকিলোমিটার অংশকে নমুনা অঞ্চল ধরে এই বাঘ গণনার কাজ চলছে। পরে প্রাপ্ত তথ্য ও নমুনাকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে একটি চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ণয় করা হবে। এরই মধ্যে ভারতীয় অংশে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ শেষ হয়ে গেছে।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, দেশটিতে সুন্দরবনের যে অংশ রয়েছে তাতে একশ’রও কম বাঘ রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মি. কবির বলছেন, বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনে কমবেশি দুইশ’র মতো বাঘ থাকতে পারে। -বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।