দেশে এসি ব্যবহার করে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ পরিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪

প্রচণ্ড গরমে মানুষের এখন নাভিশ্বাস অবস্থা। দেশের প্রায় সব এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট।

এ অবস্থায় অসহনীয় গরম থেকে স্বস্তি পেতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছেন অনেকেই। ফলে বেড়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) চাহিদা। তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের ২ দশমিক ২৮ শতাংশ পরিবার (খানা) এসি ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসে (বিএসভিএস) এ তথ্য উঠে এসেছে।

মূলত ২০২১ সাল থেকে এসি ব্যবহারের জরিপ শুরু করে বিবিএস। ওই বছর (২০২১ সালে) এসি ব্যবহার করতো এক দশমিক ৬০ শতাংশ পরিবার। ২০২২ সালের এ হার বেড়ে দাঁড়ায় এক দশমিক ৭৪ শতাংশে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরম বেড়েই চলেছে। ফলে গরম থেকে স্বস্তি পেতে এসির ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি এসি আছে। ২০২২ ও ২০২১ সালের তুলনায় এসি ব্যবহার বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে এসির ব্যবহারও বেড়েছে। তবে পরিসংখ্যানে এসির সংখ্যা তুলে ধরা সম্ভব নয়, সেজন্য পরিবারের তথ্য তুলে ধরেছি। কোনো পরিবারে ১০টি এসি থাকলেও আমরা কাউন্ট করেছি একটি পরিবার ধরে।

বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে স্মার্টফোন রয়েছে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ পরিবারে। এছাড়া বাটন ফোন আছে ৮৬ দশমিক ৫০ শতাংশ পরিবারে। ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার রয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ পরিবারে। ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ পরিবারে রয়েছে টেলিভিশন।

এছাড়া ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর রয়েছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ পরিবারে। মোটরবাইক ও স্কুটি রয়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ পরিবারে। পরিবারগুলোতে সোফার ব্যবহার বেড়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০২২ সালে ১৭ দশমিক ৬৭ এবং ২০২১ সালে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ পরিবারে সোফা ছিল।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।