এইচআরবির সেমিনার

দুদক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করাসহ ১৯ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ২৫ মে ২০২৪

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক ) কর্মরত সবার সম্পদের হিসাব ২ বছর পরপর জনগনকে অবহিত করার জন্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাসহ ১৯টি সুপারিশ দিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরবি)।

শনিবার (২৫মে ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরবি) আয়োজিত দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে এসব সুপারিশ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এইচআরবি প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটওয়ারী, সাংবাদিক জ ই মামুনসহ আরও অনেকে।

এইচআরবির সুপারিশসমূহ:

কমিশনের সদস্য সংখ্যা ৭ জন ও কর্মরত লোকবলেরর সংখ্যা ৩ গুণ বৃদ্ধি করার জন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে, দুদকের চেয়ারম্যান, কমিশনার ও কর্মকর্তাদের নির্দলীয় মনোভাব, সাহসী ব্যক্তিত্ব এবং দুর্নীতি থেকে দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, দলমত, পেশা, এলাকা এবং ব্যক্তি পরিচিতি সবক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া কমিশনের প্রত্যেক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের আইন ও বিধি সুনির্দিষ্টভাবে অনুসরণ করতে হবে, ব্যত্যয় ঘটলে কমিশন কর্তৃক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, উচ্চপদস্থ ও প্রভাবশালীদের বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ হলে সেক্ষেত্রে অনুসন্ধান, তদন্ত দ্রুত সময় শেষ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

দুদকে ডেপুটেশনে পদায়নের ক্ষেত্রে তাদের চাকরি দুদকে ন্যস্ত করার বিধান করতে হবে। দুদকে চাকরিরত অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্ত ও শাস্তি, দুদক আইনে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দুদকে কর্মরত সবার সম্পদের হিসাব ২ বছর পরপর জনগণকে অবহিত করার জন্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন রিপোর্টে বিচার বিভাগের দুর্নীতির বিষয়ে বলা হচ্ছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য সেসব রিপোর্ট সম্পর্কে দুদককে তদন্ত করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে তাদের বিষয় তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাৎক্ষণিক তদন্ত থেকে বিরত রাখা নিশ্চিত করতে হবে। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণমাধ্যমে প্রচারিত অনুসন্ধানী রিপোর্টে দুদককে সরাসরি অনুসন্ধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দুদকে মামলা দায়েরের পর আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে আইন সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, দ্রুত মামলার অনুসন্ধান ও তদত্ত সমাপ্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যারা তা করতে পারবেন তাদের পুরস্কৃত করতে হবে, কোটি টাকার ওপরে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ওপরে গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে সে প্রভাবিত না হতে পারে, বিভিন্ন আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য অধিক সংখ্যক দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কোনো আইনজীবী আসামিপক্ষ থেকে প্রভাবিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মধ্য থেকে দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরষ্কার দিতে হবে, যে সব অনুসন্ধান, ১ বছরের মধ্যে শেষ হচ্ছে না সেগুলো তালিকাভুক্ত করে কমিশনের তত্ত্বাবধানে দ্রুত শেষ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, বিদেশে অর্থপাচার বা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য দুদকের নিকট আসলে বা মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের ভ্রমণ, গাড়ি ব্যবহার, ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর অনেক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করায় ঢালাওভাবে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং এ বিষয় মিডিয়ায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ার তথ্য বিবেচনায় নিয়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ ও প্রভাবশালীদের বিষয় নথি পুনরায় অনুসন্ধানের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসএম/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।