কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হবে কেন্দ্রীয় কারাগার : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার আগামী জুন মধ্যে লালবাগ থেকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তরিত হবে বলে হানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগার ক্যাম্পাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে কারা সপ্তাহ-২০১৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার আগামী জুন মধ্যে লালবাগ থেকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তরিত হবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারের ৯ একর জায়গা জনগণের জন্য একটি পার্ক ও দুটি জাদুঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পাপকে ঘৃণা কর- পাপীকে নয়’, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরকার কারা প্রশাসন পরিচালনা করছে। তাই সরকার কারাগারের পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আদিকালে মূলত অপরাধীদের সাজা প্রদানের জন্যই কারাগার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সভ্য দুনিয়ায় কারাগারকে সংশোধনাগার এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

কারা সপ্তাহ উদযাপনে কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সাত বছর পর কারা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, এ সপ্তাহ পালনের মধ্যদিয়ে আপনাদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে এবং বন্দীদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদ আটক ও তাঁদের প্রতি মানবিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধীদের নিরাপদে আটক রাখার মাধ্যমে সমাজে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে কারারক্ষীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কারাগারের ভেতর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সে লক্ষে কারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা এ সমস্ত জঙ্গি, সন্ত্রাসী কিংবা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর কারা বিভাগের সদরদপ্তর সহ দেশে ৩৬টি কারাগার নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। যার সুফল এখন কারাবন্দীসহ পুরো কারা প্রশাসন ভোগ করছে। বন্দীদের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে ‘কারা স্মৃতি জাদুঘর’ স্থাপন করে। একে জাতীয় জাদুঘরের শাখা জাদুঘর হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর এ জাদুঘর দুটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। যাতে জনগণ জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার কারাবাসকালীন স্মৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যগণ এবং সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কারা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কারারক্ষীদের বিভিন্ন গ্রুপ মার্চ পাস্ট করে এগিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।