ব্যাংক একীভূতকরণে হার-জিতের শঙ্কা ও সম্ভাবনা

মো. হারুন-অর-রশিদ
মো. হারুন-অর-রশিদ মো. হারুন-অর-রশিদ , কলামিস্ট ও বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিকেশন বিভাগ, এনআরবিসি ব্যাংক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সোনার তরী” কবিতায় অসহায় কৃষকের কাছে নৌকা ঠিকই এসেছে। কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত ধান নৌকায় সাজিয়েছে থরে বিথরে। আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে পাল তুলে নৌকা ছুটেছে আপন গন্তব্য। কিন্তু নৌকায় ঠাঁই হয়নি কৃষকের। সব উপার্জন হারিয়ে কৃষকের আক্ষেপ - ‘শূন্য নদীর তীরে/ রহিনু পড়ি-/ যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী’। রবীন্দ্রনাথের নৌকায় কৃষকের ঠাঁই না মিললেও কুবের মাঝির মুক্তির চেষ্টা বিফল করেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসে কেতুপুরের বাসিন্দা কুবের মাঝি সংকটের আস্তাবল থেকে মুক্তি চায়। ময়নাদ্বীপে মুক্ত জীবনের হাতছানি নিয়ে অপেক্ষা করছে হোসেন মিয়া।

ময়নাদ্বীপের যাওয়ার নৌকায় স্বাগত জানিয়েছে কুবের মাঝিকে। অর্থনীতির সাগরে এক প্রকার ঢেউ তুলেছে ‘একীভূতকরণ/মার্জার এবং অধিগ্রহণ/অ্যাক্যুইজিশন’। কখনো এক ডুবন্ত প্রতিষ্ঠান কিনে জায়ান্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আরেক প্রতিষ্ঠান। আবার কখনো মুনাফার উচ্চাশায় একের পর এক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে নিজেই ডুবেছে ভাঙা নৌকা হিসেবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫ ইসলামী ব্যাংকের মার্জার বা একীভূতকরণ নতুন ঢেউ সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন  শঙ্কা ও উৎকণ্ঠায়  থাকা ওই ৫ ব্যাংকের আমানতকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেয়ারধারীদের জন্য সম্ভাবনার নৌকা হয়ে হাজির হয়েছে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক।

বিশ্ব বাণিজ্যের মাঠে মার্জার দাবার ঘুঁটির মত। জিতলে বাজিমাত, ভুল চালে হারলে কুপোকাত। হারের আশঙ্কাকে উড়িয়ে ‘মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন গেইমে’ পুরোদস্তুর খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন উচ্চাভিলাষী প্রধান নির্বাহীরা। তবে যুদ্ধ, সংঘাত, রাজনৈতিক আগ্রাসন, বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির পরিবর্তন ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর অধিগ্রহণ উন্মাদনা কিছুটা শীতল রেখেছিল বলে ‘গ্লোবাল মার্জার এবং অ্যাকুইজিশন রিপোর্ট-২০২৫’-এ উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘বেইন অ্যান্ড কোম্পানি’।

ওই তিন বছর স্থির বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কারবারিরা। তবে ২০২৫ সালে অধিগ্রহণ কারবারিরা যেন বিশ্ববাজারে ঝড় তুলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত ১০টি সোমবার শুরু হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি কোম্পানির মার্জারের সংবাদ দিয়ে। এজন্য ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে সোমবারকে ‘মার্জার মানডে’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর্থিক ও বাণিজ্যিক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের (এলএসইজি) এক জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৬৩টি মার্জার সংক্রান্ত বৃহৎ লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি লেনদেন ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণ। এরমধ্যে ৩২টি  কর্পোরেট মেগাডিলেই ৭০০ বিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা ডিলের ক্ষেত্রে রীতিমতো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। আমেরিকার রেল রোড কোম্পানি ইউনিয়ন প্যাসিফিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে আরেক আমেরিকান কোম্পানি ‘নরফোল্ক সাউদার্ন’ কিনেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম মেগাডিল। এ যাবৎকালে মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলারের মেগাডিলে ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রায়থিওন কিনেছিল ‘ইউনাইটেড টেকনোলজিস’। বিনোদন প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকোভারি’ ৬০ বিলিয়ন ডলারে কিনতে নেটফ্লিক্স, কোমকাস্ট ও প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স রীতিমতো বাজির টেবিলে চাপড়িয়েছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কর্তৃক স্থাপিত ‘মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ইউনিটে’র মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্টকে ৭৪ বিলিয়ন ডলারের মেগাডিলের বাজিতে পরাজিত করেছে।

মার্জার নিয়ে কেন এত মাতামাতি, দর কষাকষি? উচ্চ মুনাফা, স্বল্প সুদ এবং নতুন বাজারে অবাধ প্রবেশের সুবিধা গ্রহণ করতে চান উচ্চাভিলাষী সিইও’রা। অধিগ্রহণ করলেই বিশাল অঙ্কের মুনাফায় পকেট ভরবে? হার্ভাড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ক্লেটন ক্রিস্টেনসেন ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মার্জার নিয়ে গবেষণা করে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন ওই দশ বছরের অধিগ্রহণ করেও ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ কোম্পানি মুনাফার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ সফলতা পেয়েছিল মাত্র ১০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।

তবে যুদ্ধে কেউ হারতে চায় না। বাণিজ্যিক যুদ্ধে তো নয়ই। তাইতো বাজির টেবিলে অনেকে নিজের স্ত্রীকেও খুইয়ে বসেন। তাই মার্জার মেগাডিল থেমে থাকেনি। ব্যর্থতার কারণ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ক্রিস্টেনসেনের সতর্কতার দেড় দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। নতুন নতুন কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে হাজির করা হয়েছে। কালী প্রসন্ন ঘোষের ‘এক বারে না পারিলে দেখ শতবার’ মন্ত্রে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মার্জার ঢেউ আরও উদ্বেলিত হয়েছে। 

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যের মার্জারের ভাগ্যে কী আছে? রবীন্দ্রনাথের নৌকার মত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক ফসল উঠিয়ে শূন্য হারিয়ে যাবে নাকি বিপদগ্রস্ত কুবের মাঝির মত উদ্ধার করে ময়নাদ্বীপে নিয়ে যাবে? এই মার্জারের ফলে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য আপাতত সমাধান পাওয়া গেলেও বাকিদের জন্য অনিশ্চিত অপেক্ষা। তবে দেশের ঐতিহাসিক এই মেগাডিল সফল হয়ে সমৃদ্ধির গল্পের উপাদান হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা। 

মেগাডিলের মার্জার হওয়া কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা পরবর্তী ৫ বছরে কি দাঁড়িয়েছিল সেই বিষয়ে দি ইকোনমিস্ট পত্রিকার ব্যবসা, কৌশল, উদ্ভাবন, একীভূত ও অধিগ্রহণ বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক কলাম ‘শুমপিটারে’ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নিবন্ধে ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দামে কেনাবেচা হয়েছে এমন ১১৭টি মেগাডিল আর্থিক চিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব মেগাডিলে সর্বমোট ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়। পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যমমানের ডিলে মার্জার হওয়া কোম্পানিগুলো ৬ শতাংশ হারে মুনাফা করেছে। তবে মূলধনের বিপরীতে আয় ২ শতাংশ হারে কমেছে।

শুমপিটার কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্ধেক বাজিকর লাভবান হয়েছে আবার অর্ধেক বাজিকর লোকসানে পড়েছেন। অর্ধেক কোম্পানি যারা ভালো করতে পেরেছে পরবর্তী ৫ বছরে তাদের মূলধন ২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন বাড়াতে পেরেছে। কিন্তু অদক্ষতাসহ নানা কারণে বাকী অর্ধেক কোম্পানি পিছিয়ে পড়েছে। তাদের শেয়ার মূল্য ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছিল। 

কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান বেইন অ্যান্ড কোম্পানির একটি জরিপে বলা হয়, ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যে-সব কোম্পানি বছরের অন্তত একটি অধিগ্রহণ করেছে তাদের আয় ৮.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। অধিগ্রহণে অনাগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। তবে শুধু অধিগ্রহণের কারণে আয় বাড়েনি। বরং অধিক কমপ্লায়েন্স, সক্ষমতা বাড়িয়ে নতুন বাজারে প্রবেশ এবং একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের পরিবর্তে ছোট ছোট একাধিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা।

ব্যবসার ধরন বদলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে খরচ কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মেগাডিলে অংশ নেওয়ার সক্ষমতাও বেড়েছে। নিজ ব্যবসার বাইরে ভিন্নখাতে ব্যবসা বাড়ানোর মত ঝুঁকি নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেছে অনেক কোম্পানি। কিন্তু সর্বশেষ জরিপেও অর্ধেক কোম্পানি মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো মূলধন হারিয়ে বসেছে। সুতরাং মার্জার কারবারে হার-জিত ঝুঁকি এখানো ৫০/৫০।  

হার-জিতের মার্জার নিয়ে বৈশ্বিক এই উন্মাদনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (৩৫ হাজার কোটি টাকা) মূল্যমানের মেগামার্জার ৫টি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক গঠন করা। ওই পাঁচ ব্যাংক হলো- এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। দেশে ২০০৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৮ বছরে ২২টি মার্জারের সর্বমোট মূল্য ছিল ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ১৮ বছরের মার্জার সংক্রান্ত এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ইডিজিই রিসার্চ অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেড এবং লাইটক্যাসেল পার্টনার্সের যৌথ এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ডিলগুলোর মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ ১.৪৭ বিলিয়ন ডলারের ডিল ছিল ২০১৮ সালে জাপান টোব্যাকো কর্তৃক আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ। আলোচ্য সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১২৫ মিলিয়ন ডলারের ২টি মার্জার ডিল সম্পন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে আইসিবি ফাইন্যানশিয়াল গ্রুপ ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অধিগ্রহণ করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক গঠন করে। ২০০৯ সালে ইকুইয়িটি পার্টনার লিমিটেড (ইপিএল) অধিগ্রহণ করে ব্র্যাক ব্যাংক। ২০১৬ সালে ১২.৮০ মিলিয়ন ডলার লেনদেনে রবি ও এয়ারটেল একীভূত হয়ে রবি নাম কার্যক্রম শুরু করে।

স্বাধীনতার পর দেশের ৬টি সরকারি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ১২ টি ব্যাংক মার্জারের মাধ্যমে। এরপর ২০০৯ সালে সরকারি খাতের বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) গঠন করা হয়। তবে ওই ব্যাংকটি সংকট কাটিয়ে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি।

সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ২০২৪ সালে ব্যাংক এশিয়া পাকিস্তানি ব্যাংক আল ফালাহ ৪৮ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলারে (৬০০ কোটি টাকা) দিয়ে কিনে নেয়। চলতি বছর জনতা-সাদাত জুট মিল ৫৮ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলারে (৭২৫ কোটি টাকা) কিনে নেয় আকিজ গ্রুপ।

বিশ্বে একটি জায়ান্ট কোম্পানি আরেক কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছে। দেশের প্রেক্ষাপটেও একটি ভালো কোম্পানি আরেকটি দুর্বল বা ছোট কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ৫ ইসলামী ব্যাংকের মার্জারের ঘটনা। ৫টি রুগ্ন প্রতিষ্ঠান একত্রিত করে আরেকটি বড় মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সর্বমোট ঋণের মধ্যে ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ৭৫ লাখ আমানতকারী সর্বমোট ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার মূল্য শুন্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাহাড়সম খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি ও বিপুল অঙ্কের লোকসানে রুগ্ন ও বেশি রুগ্ন কোম্পানির এই মিলন সবল কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিতে সক্ষম কীনা তার উত্তর কিছুটা হলেও দিতে পারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যের মার্জারের ভাগ্যে কী আছে? রবীন্দ্রনাথের নৌকার মত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক ফসল উঠিয়ে শূন্য হারিয়ে যাবে নাকি বিপদগ্রস্ত কুবের মাঝির মত উদ্ধার করে ময়নাদ্বীপে নিয়ে যাবে? এই মার্জারের ফলে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য আপাতত সমাধান পাওয়া গেলেও বাকিদের জন্য অনিশ্চিত অপেক্ষা। তবে দেশের ঐতিহাসিক এই মেগাডিল সফল হয়ে সমৃদ্ধির গল্পের উপাদান হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা। 

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিকেশন ডিভিশন, এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। [email protected]

এইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।