ভয়কে জয় করতে হবে

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ভোট পদ্ধতি ব্যবহার করবে কমিশন। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চালানো হয়েছে জনসচেতনামূলক কর্মসূচিও।

পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং ধ্যান ধারণায়ও পাল্টে যাচ্ছে। বর্তমান একংবিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকদূর এগিয়েছে। আর প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের অনেক জটিল কাজকে সহজ করে দিয়েছে। জীবনকে করেছে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং গতিশীল। ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তিগত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।

স্বাস্থ্যখাতেও প্রযুক্তির ব্যবহার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সভ্যতার ক্রম বিকাশের ধারায় বর্তমান বিশ্ব অনেকাংশেই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। কাজেই প্রযুক্তির এই চরম উৎকর্ষের যুগে এসে আমাদের প্রযুক্তি বিমুখকতার কোনো সুযোগ নেই। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পদ্ধতি নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা আসলে প্রযুক্তি ভীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা এক ধরনের গোঁড়ামিরও পরিচয়। এছাড়া অকারণ বিরোধিতার সংস্কতিও এ জন্য দায়ী।

নতুন কিছুকে গ্রহণ করার জন্য আধুনিক চিন্তাচেতনার অধিকারী হতে হয়। কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার আগেই এ নিয়ে অযথাই ভয় বা আশঙ্কা প্রকাশ কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাপার হতে পারে না। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যালট ইউনিট ও কন্ট্রোল ইউনিট টেম্পারিং করে এক মার্কার ভোট অন্য মার্কায় দেখানো সম্ভব। একই সঙ্গে ভোটের সংখ্যাও বাড়ানো কমানো সম্ভব। কথায় বলে ‘যন্ত্র থাকলে যন্ত্রনাও থাকবে’। তাই বলে কি আমরা যন্ত্র ব্যবহার করবো না। যে কোনো জিনিসেরই ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে। অর্থাৎ ইভিএম পদ্ধতির ক্ষেত্রেও কথাটি তাই। সুতরাং নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, ইভিএম পদ্ধতির অনেক উপযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় এটি যুক্ত হলে তা একটি আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে অযথাই অকারণ বিরোধিতার অবস্থান থেকে সরে আসাই হবে উত্তম।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।