ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিই অর্থনীতির অন্যতম প্রাণশক্তি। কিন্তু নানা কারণে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ-সংক্রান্ত দাবি এলো একটি সংগঠনের কাছ থেকে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ফসল ক্রয়, কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা ও ব্যবসা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন কৃষক সংগ্রাম সমিতি।

গতকাল বুধবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের কাছে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে করোনাভাইরাসজনিত মহামারি পরিস্থিতির কারণে অঘোষিত লকডাউন কার্যকর করায় সব সেচযন্ত্র মেরামত দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফসল ঘরে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন মেরামত করে প্রস্তুত করছে কৃষক। তবে, এ কাজে সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিরা কাজ করতে পারছে না। কোথাও মিস্ত্রিরা কাজ করলেও যন্ত্রাংশের দোকান বা লেদ কারখানা বন্ধ রয়েছে। ফলে ধান পাকার পূর্বে সেচ ব্যাহত হয়ে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধান ঘরে তুলতে সমস্যা হবে।

এদিকে সবজির ক্রেতা না থাকায় কৃষক উৎপাদিত সবজি বিক্রয় করতে পারছে না। পানির দামে বিক্রি করে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে সবজিচাষীরা। অতীতের ন্যায় ফসলের ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত কৃষক দিশেহারা। নেতৃবৃন্দ করোনা মহামারিজনিত পরিস্থিতি এবং পরবর্তিতে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পূরণের আহ্বান জানান।

দাবিসমূহ-

১. উৎপাদিত ধানের ১/৩ অংশ রাষ্ট্রকে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করতে হবে।

২. কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত চালু করতে হবে।

উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষক যেমন উপকৃত হবে তেমনি ভোক্তাস্বার্থ রক্ষিত হবে। এ জন্য কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কেনার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কালে এমনিকেই নানা সংকটে আছে কৃষক। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এইচআর/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।