স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ২৩ মে ২০২০

পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে এবারের ঈদ এসেছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। ছোঁয়াচে ভাইরাসের কারণে ভয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যেই আসছে ঈদ। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার তিনি এই আদেশ দেন। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আদেশে বলা হয়েছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পাঠানো ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে ওইদিন ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। এই ক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদের নামাজের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো :

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

>> ঈদের নামাজের জামাতের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।

>> ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

>> করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

>> মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

>> ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

>> ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

>> করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।

>> মসজিদে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।

>> করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন।

বিজ্ঞাপন

>> ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদনকেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।

>> ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।

>> মালিকপক্ষ থেকে মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

বিজ্ঞাপন

>> খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে।

করোনাভাইরাসে দেশে ইতোমধ্যে মারা গেছে ৪৩২ জন। শনাক্ত ৩০ হাজার ২০৫ জন। এ অবস্থায় ভাইরাস যাতে আর ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। বাঁচতে হলে জানতে হবে। জেনে মানতে হবে। সকলের জীবন নিরাপদ হোক- এটিই প্রত্যাশা।

বিজ্ঞাপন

এইচআর/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।